Upper Primary Big Breaking Latest News Update Today|| হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল আপার প্রাইমারি নিয়োগ প্রক্রিয়া।।
উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট ।
উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠছিলো অনেক দিন থেকেই।
তারপর পরীক্ষার্থীদের একাংশ সমস্যা নিরাময়ের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়। এবার শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের কথা শুনল আদালত। প্রায় আড়াই হাজার পরীক্ষার্থীর দায়ের করা একাধিক মামলার ভিত্তিতে আজ অর্থাত্ শুক্রবার ১১ই ডিসেম্বর ২০২০ কলকাতা হাইকোর্ট চূড়ান্ত রায় দিয়েছে।
আজকের চূড়ান্ত রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। আবার সব নতুন করে শুরু করতে হবে। আদালতের এই রায়ে খুশি পরীক্ষার্থীদের একাংশ।
মামলাকারী চাকুরিপ্রার্থীদের তরফ থেকে তাদের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাদের দাবি ছিল পরীক্ষার্থীদের ডকুমেন্ট চেক করা স্তর থেকে সমস্ত প্রক্রিয়া নতুন করে করতে হবে। কারণ নিয়োগের সময় চূড়ান্ত দুর্নীতি হয়েছে।
আজ অর্থাত্ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছেন, সমস্ত প্রক্রিয়া আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।
৪ ই জানুয়ারি থেকে ৩১সে জুলাইয়ের মধ্যে আপার নিয়োগ নতুন করে সম্পন্ন করতে হবে
পুরান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে খারিজ করা হল।
একনজরে আজকের রায় ও আপডেট
💥২০১১ ও ২০১৫ সালের টেট এর ভেরিফিকেশনের বিজ্ঞপ্তি হয় ২০১৬ -তে।
💥 ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। তখন শূন্যপদের পরিমাণ ছিল ১৪৩৩৯ টি।
💥কিন্তু তারপর থেকে আজ অব্দি চার বছর হয়ে গেলেও তা এখনো সম্পন্ন হয়নি।
💥
সেই তালিকায় চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ হয় মামলা।
❌ মামলাকারীদের প্রধান অভিযোগ ছিল অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে,
❌হয়েছে আর্থিক কারচুপিও।
💥সেই মামলর রায় শোনালো বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য।
💥এদিন হাইকোর্ট রায়ে জানিয়ে দিল, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে নতুন করে করতে হবে।
💥প্যানেল থেকে শুরু করে মেধা তালিকা সব কিছুই বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য।
💥
৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, নির্দেশ আদালতের।
💥
অযোগ্যদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের সিলেকশন প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
💥
যেই প্যানেল নিয়োগ কাজে নিযুক্ত ছিল তাদেরও বাতিল করা হয়েছে।
💥আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে নতুন মেরিট লিস্ট প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
💥করোনা আবহের জেরে ভার্চুয়ালে প্রক্রিয়াকরণ চালাতে পারে বলেই সূত্রের খবর।
🌀যদিও, প্রার্থীরা স্বশরীরে অংশ নিতে ইচ্ছুক।
💥হাইকোর্টের নির্দেশ ৪ই জানুয়ারীর মধ্যে কাউন্সেলিং, ডকুমেন্ট জমা করার কাজ আরম্ভ করতে হবে।
💥
৫ই এপ্রিলের মধ্যে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে।
💥এরপর ১০ই মে এর মধ্যে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে।
💥
আগামী ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলছি নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সামনে একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের কাছে হাইকোর্টের এই রায় খুব একটা স্বস্তির হবে না। এমনিতেই অনেকেই এখন মনে করে সরকারি চাকরি পেতে গেলে টাকা দিতেই হয় বা দুর্নীতি করে সরকারি চাকরি পায় সবাই। টাকা নিয়ে চাকরি দেয়া হয় নির্দিষ্ট যোগ্যতা ছাড়াই। এরপর আদালতের রায়ের পর সেই ধারণা আরো পাকাপোক্ত হলো বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা। নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের এরকম গাফিলতির ছবি সাধারণ মানুষ জানতে পারলে তা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে তা বলা বাহুল্য।
Comments
Post a Comment